
শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনে পুড়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে শোকসভা ও নিরাপদ নৌ পথের দাবীতে মানববন্ধন করেছে "নোঙর বাংলাদেশ"।.
.
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঝালকাঠি শহরের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে শীতের রাতে লঞ্চের ৪২ জন ঘুমন্ত যাত্রী নিহত হন এবং প্রায় ৭০ জন যাত্রী দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে এবং হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।.
.
অনুষ্ঠানের সভাপতি সুমন শামস বলেন, নৌপথ কে অচল করার ষড়যন্ত্র চলছে। "নদীমাতৃক দেশে ৫০ বছরেও নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি কেন? এ সময়ের মধ্যে আড়াই হাজারের বেশি নৌ-দুর্ঘটনায় প্রায় ২১ হাজার যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা আর কোন নৌ দুর্ঘটনা দেখতে চাই না"।.
.
বুড়ি গঙা নদী বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক মিহির বিশ্বাস বলেন "নদী আমাদের মায়ের মতো। নদী বাঁচলে দেশ বাচবে। আর এই নদী পথকে রাখতে হবে নিরাপদ।.
.
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ বলেন "আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদীর ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। তিনি দেশে আসলে দ্রুত ব্যবস্থা করবেন। লঞ্চ মালিকদের অবহেলা সহ্য করা হবেনা।.
.
সাংস্কৃতিক সংগঠক আবির বাঙালী বলেন, বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করে এ সকল অনিয়ম রোধ করতে হবে। "সঠিক মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে তা না হলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বাড়বে। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। .
.
মানববন্ধনে বক্তারা বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করে বলেন, অনুমতি ছাড়াই লঞ্চের ইঞ্জিন পরিবর্তন করা না করা, আগুন লাগার পরে বের হবার সকল দরজা বন্ধ না রাখা, লঞ্চের বয়া যাত্রীদের হাতের নাগালে রাখা, লঞ্চ মালিক পক্ষ টিকিট কাউন্টার ব্যবহার করাতে বাধ্য করা, নৌযানে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, বিআইডব্লিউটিএ'র কঠিন নজরদারির বাড়ানো, নৌপথের লঞ্চের বিপদজনক প্রতিযোগিত বন্ধ করা, ২৩ মে, জাতীয় নিরাপত্তা দিবস ঘোষণা করা, নৌপথে সঠিক মনিটরিং করা, গত ৫০ বছরে আড়াই হাজারেরও বেশি দুর্ঘটনায় প্রায় ২১ হাজার নৌযাত্রীর পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান তৈরী করাসহ নৌপথকে নিরাপদ করার জন্য বক্তারা বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ তুলে ধরেন।.
.
নোঙর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শাম এ-র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, আমিনুর রসুল, মিহির বিশ্বাস, রাশেদ হাওলাদার, উত্তম ঘোষ, রুকাইয়া নাসরিন, অভিলাষ দাস এবং কনক রওশন। .
.
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ শাজাহান, মীর মোকাদ্দেস আলী, এফ এইচ সবুজ, মঞ্জুর রহমান, হৃদয় চৌধুরী, বাপ্পি খান, আহসান হাবিব, মোঃ মাজেদুল হক মাজেদ, আব্দুর রউফ, দুলাল, জি এম নবী, আমিনুল হক চৌধুরী, বাহারুল ইসলাম টিটু, মোহাম্মদ শেখ সালামত, শর্মী আক্তার প্রমুখ।.
Ajker Bogura / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: